Khoborerchokh logo

পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে,গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান- ফারহানা ইয়াসমিন। 1620 0

Khoborerchokh logo

ছবি, গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান- ফারহানা ইয়াসমিন।

পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন।
বর সরোয়ার হোসেন সবুজ উপজেলার শোলমারী গ্রামের বাসিন্দা। তার প্রথম স্ত্রী একজন স্কুল শিক্ষিকা এবং তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক।
 গত মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুর ২টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের উপস্থিতিতে নারী ভাইস চেয়ারম্যানের চৌগাছা বাসভবনে ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়েতে উকিল বাবার দায়িত্ব পালন করেন গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম। এ সময় গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের (মেম্বর) সানোয়ার হোসেন ও ছেলে সবুজের বাবা আনসারুল হক উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফারহানা ইয়াসমিনের স্বামী শাহাবুদ্দিন মৃত্যুবরণ করলে তিনি একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। মঙ্গলবার সকালে সরোয়ার হোসেন সবুজ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে আসেন। এ সময় স্থানীয়রা সবুজ ও ফারহানা ইয়াসমিনকে ওই বাড়িতে আটকে রাখেন। যুবকের সঙ্গে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে দাবি করেন তারা
তবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত। এভাবে তার সম্মানহানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন। তাদেরকে ঘরে তালাবন্দি করা লোকজন মারধর করেছে বলেও বিচারের দাবি করেন তিনি।
এই ঘটনার খবর পেয়ে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক, গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম ও গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রবিউল ইসলাম ফারহানা ইয়াসমিনের বাড়িতে যান। এ সময় তারা ওই যুবক এবং ফারহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত ও প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা করেন।
প্রথমে তাদের পরকীয়া প্রেমের কথা অস্বীকার করে ধর্মভাই পরিচয় দিলেও পরে ছেলের মোবাইল সার্চ করে দুইজনের বিভিন্ন কথোপকথন এবং অসামজিক ছবি উদ্ধার করা হয়। পরে সরোয়ার হোসেন সবুজ সব কথা স্বীকার করায় তাদের দুইজনের বিয়ের আয়োজন করেন তারা।
এদিকে বিষয়টি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি হয়ে পড়ে টক অব দ্য এরিয়া।
তাদের বিয়ে নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি সামাজিকভাবে সমাধান করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান এম এ খালেক। গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম জানান, উভয়ের সম্মতিতে সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।


সম্পাদকঃ আলমগীর কবীর, ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মনিরুজ্জামান। উপদেষ্টা সম্পাদক পরিষদঃ শাহিন বাবু । অস্থায়ী কার্যালয়ঃ নাওজোড়, বাসন, গাজীপুর মেট্রো পলিটন, গাজীপুর।
যোগাযোগঃ ০১৭১১৪২১৪৫১, ০১৯১১৮৮৯০৯৩, ই-মেইলঃ khoborersomoy24@gmail.com, web: www.khoborersomoy.com